৳ ৩৫০ ৳ ২৬৩
|
২৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি
একরাম বুক ফুলিয়ে বলে দিল- গভীন জলের মাছ স্যার। স্যার পুনরায় বললেন, কোন জলের মাছ? এবার একরাম তার স্বভাবজাত চন্দ্রবিন্দু পরিত্যাগ করে বলে- গভীন জলের মাছ স্যার। একরামের উচ্চারিত 'গভীন' এর চন্দ্রবিন্দুটা স্যারের বুঝতে কষ্ট হয় না। কিন্তু 'গভীন' আবার কেমন শব্দ? মাঝের বেঞ্চি থেকে মনসুর বলে উঠল, 'গভীন' মানে হলো গর্ভবতী স্যার। স্যার চোখ লাল করে তাকালেন। তার মানে দাঁড়ালো 'টুনা মাছ' গর্ভবতী জলের মাছ। ছি! ছি! পানি আবার গর্ভবতী! তোদের পড়ানো আমার বাপের কালেও সম্ভব হবে না। স্যার রাগে গুলুগুলু হয়ে উঠলেন। মনসুর এবার স্যারের রাগ কমাতে চেষ্টা করল- আসলে স্যার, গর্ভবতী মানে 'গায়ে ভারী' স্যার। তার মানে হলো যে স্যার ভারী জলের মাছ। আসলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় 'গর্ভবতী'কে 'গায়ে ভারী' বলা হয়। মনসুর আর একরাম দু'জন মিলে 'টুনা মাছের' বসবাসের জায়গাটিকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করালো, স্বয়ং টুনা মাছ যদি সেই ক্লাসে উপস্থিত থাকতেন তাহলে দু'জনের গালে থাপ্পড় কষে বলতেন- 'আমি গভীন জলেরও মাছ না, গর্ভবতী জলেরও মাছ না। আমি হলাম গভীর জলের মাছ। আমি সমুদ্রে বাস করি।'
স্যার এবার গভীন শব্দের ভুলটি সংশোধন করে বললেন- ওটা 'গভীর' হবে রে হারামজাদা।
একরাম এবার তার ভুলটি বুঝতে পেরে বলে- স্যার, শেষে 'দন্ত্য-র' উচ্চারণ না কর্যা ভুলে 'দন্ত্য-ন' কর্যা ফেল্যাছিনু। অর্থাৎ একরাম দন্ত্য-র, এর স্থলে ভুলক্রমে দন্ত্য-ন উচ্চারণ করেছিল। একরামের এই ব্যাখ্যা শুনে স্যার আরও বিস্মিত হলেন। কারণটি হচ্ছে- একরামের মাধ্যমে বাংলা বর্ণমালায় 'দন্ত্য-র' নামের নতুন একটি বর্ণের অস্তিত্বও জানা গেল। আজিজ স্যার এবার একরামকে রাম ধমক দিয়ে বললেন, 'চুপ কর হারামজাদা'। 'তুই কী করে যে পঞ্চম শ্রেণিতে উঠলি আমি ভেবে পাচ্ছি না।' স্যার পরেরদিন ক্লাসে এসে একরামকে দাঁড় করিয়ে বললেন, ইলিশ মাছ সম্বন্ধে কী বলেছিলাম মনে আছে তোর?
জ্বি স্যার মনে আছে। 'ইলিশ বাংলাদেশের জাবতীয় মাছ।' স্যার পুনরায় প্রশ্ন করলেন- কী মাছ? 'জাবতীয়' মাছ স্যার। একরামের উত্তর শুনে পুরো ক্লাসে হাসির রোল পড়ে গেল। স্যার গম্ভীর হয়ে প্রশ্ন করলেন- এখানে অবৈধ 'ব' এর আগমন ঘটল কীভাবে?
Title | : | জানালায় দেখা হলদে পরী |
Author | : | রবিউল ইসলাম |
Publisher | : | অনুপ্রাণন প্রকাশন |
ISBN | : | 9789849741701 |
Edition | : | 1st Published, 2023 |
Number of Pages | : | 112 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
রবিউল ইসলাম রম্যগল্পের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য রচনার সূচনা করেন। হাস্যরসের প্রতি তার গভীর অনুরাগ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রসিক আর আড্ডাপ্রিয়। হাস্যরসিক বন্ধুপ্রিয় এ মানুষটির জন্ম ১৯৭৭ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন গোমস্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী শিবরামপুর গ্রামে। লেখাপড়া করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে। পিএইচ.ডি করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাঁর গবেষণার শিরোনাম ‘আবদুশ শাকুরের সাহিত্য: বিষয়-বিন্যাস ও নির্মাণকৌশল।’
রবিউল ইসলাম ২৬তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি ২০০৬ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজে প্রভাষক বাংলা পদে যোগদানের মাধ্যমে চাকুরিজীবন শুরু করেন। ইতোপূর্বে তিনি সহকারী অধ্যাপক, বাংলা পদে চাকুরি করেছেন- রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী, বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ, বদলগাছী, নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজে ও সরকারি শাহ এয়তেবারিয়া কলেজ, বগুড়া। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগেসহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন।
ইতোপূর্বে লেখকের ‘কই মাছটি এখনো নড়ছে’ (২০১৯), ‘বিরুদ্ধ বাতাসে বালক’ (২০২০) শিরোনামে দুটি রম্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘জানালায় দেখা হলদে পরী’(২০২৩) লেখকের তৃতীয় প্রকাশিত রম্যগ্রন্থ। তাঁর গল্পের ভাষা প্রাঞ্জল এবং গল্পের বিষয় সরস ও উপভোগ্য। প্রতিটি গল্প যাপিত জীবনের বাস্তবতা থেকে উৎসারিত।
‘চেরাগ আলীর ফুটবল কাল (২০২০)’ শিরোনামে লেখকের একটি শিশুতোষ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের বিচিত্র বিষয়ের তিনি একজন অনুসন্ধিৎসু পাঠক। লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত আছেন ছাত্রজীবন থেকেই। হাস্যরস মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ‘জানালায় দেখা হলদে পরী’ (২০২৩) গ্রন্থে লেখক হাস্যরসকে বিচিত্র বর্ণনারসে তুলে ধরেছেন। প্রত্যাশা করি গল্পগুলো সাধারণ পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
If you found any incorrect information please report us